ইসলামিক স্টেট বা আই এস সদস্যদের হাতে জিম্মি জাপানী নাগরিকদের একজনকে হত্যা করার দাবি সম্বলিত ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এই ভিডিও চিত্রটির সত্যতা যাচাই করে দেখছেন তারা, যা কিনা এর আগে আই এসের সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ভিডিও চিত্রগুলো থেকে কিছুটা আলাদা ধাঁচের।
সদ্য প্রকাশিত এই ভিডিও চিত্রে বলা হচ্ছে, আটক জিম্মি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হারুনা ইয়াকুয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে অপর জিম্মি সাংবাদিক কেনজি গোতো এখনও জীবিত আছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, গোতোর হাতে একটি ছবি রয়েছে যাতে সম্ভবত ইয়াকুয়ার মৃতদেহ দেখানো হচ্ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে প্রকাশিত ভিডিও চিত্রটিকে ‘ভয়ানক’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে এর ব্যাপক নিন্দা জানান।
মধ্যরাতেই তিনি তার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। প্রধানমন্ত্রী আবে বলেন, আই এসকে ভয় পায়না জাপান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের কাছে নতি স্বীকার করবেন না তারা।
এ দুই জাপানিকে জিম্মি করার কথা জানিয়ে গত মঙ্গলবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে আইএস, যাতে বলা হয়, ৭২ ঘন্টার মধ্যে জাপান সরকার ২০ কোটি ডলার মুক্তিপণ না দিলে তাদের দুই নাগরিককে হত্যা করা হবে।
গত অগাস্টে ৪২ বছর বয়সী হারুনা ইয়াকুয়া সিরিয়ায় যাবার পর তাকে অপহরণ করে আই এস জঙ্গিরা।
আর ইয়াকুয়াকে মুক্ত করতে অক্টোবর মাসে সিরিয়ায় গিয়ে আই এস এর হাতে জিম্মি হন খ্যাতনামা জাপানী সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ৪৭ বছর বয়সী কেনজি গোতো। বিবিসি।